সলোমনের গুপ্তধন

Home / Book Review / সলোমনের গুপ্তধন

বইয়ের নামঃ সলোমনের গুপ্তধন

লেখকঃ হেনরি রাইডার হেগার্ড

 বই নং – ৮৬১

অনির্বাণ পাঠাগার  

অ্যালান কোয়াটার মেইন, একজন শিকারি জীবনের অনেকটা সময় আফ্রিকার জঙ্গলে কাটিয়েছে। অভিযানের নেশা অনেক কিছু যেমন কেড়ে নিয়েছে তেমনি অনেক পেয়েছেও। আফ্রিকা সম্পর্কে যদি কেউ জানে তবে তা ওই অ্যালান কোয়াটার মেইন, নেশা ছিল কিন্ত লোভ কখনোই গ্রাস করেনি। ভয়ঙ্কর সব অভিযান, শিকার, আফ্রিকার জঙ্গল, মরুভূমি, সব ছেড়ে অ্যালান ফিরে চলেছে নিজের মাতৃভূমিতে ছেলের কাছে, জীবনের বাকিটা সময় সে সন্তানের সাথেই কাটাতে চায়। জাহাজে বসে এই সব ভাবছে। হঠাৎ অ্যালানের সাথে পরিচয় হয় স্যার হেনরির সাথে, তিনি আফ্রিকা সম্পর্কে জানতে চান কথায় কথায় উঠে আসে স্যার হেনরি আসলে সুলিমান পর্বতে যেতে চান সাথে অ্যালানকেও সঙ্গী হিসাবে চান। অ্যালান যা চাইবে দেয়া হবে, সেই সাথে জানানো হয় ভাইকে খোঁজাই মূল উদ্দেশ্য। স্যার হেনরির ছত ভাই জ্যাক বাড়ি ছেড়েছে তাকে ফিরিয়ে আনতেই হেনরির সুলিমান পর্বতে যাওয়া। অ্যালান জানায় জ্যাকের সাথে তারও দেখা হয়েছিল কিন্তু তা অনেকদিন আগের কথা। অভিযানে যাওয়ার জন্য অ্যালান কিছু শর্ত রাখে। স্যার হেনরি প্রস্তা মেনে নিলে অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়। আবার আফ্রিকার জঙ্গলে যাওয়ার জন্য রসদ, অস্র, শিকারি, মালামাল বহনের জন্য বিশেষ ধরণের মহিষ, চাকর এসবের যোগার শুরু হয়। মুশকিল দেখা দেয় চাকর নিয়ে দুজন যোগার হলেও আরেকজন না হলে অভিযান শুরু করা সম্ভব না। হঠাৎ এক একজন এসে জানায় সে যেতে চায় তাদের সাথে। দেখতে যোদ্ধার মতো, তাকালে সমীহ জাগে। শুরু হল তাদের যাত্রা পথে তারা হাতি শিকার করে, গ্রাম থেকে খাবার সংগ্রহ করে। পুরো দলে স্যার হেনরি, তার বন্ধু গুড, অ্যালান এবং তিনজন চাকর। পথে তেমন কোন সমস্যাই হইনি যতক্ষণ না বিশাল মরুভূমি সামনে এসেছে। এই মরুভূমি পার হয়ে গেলেই বিশাল সুলিমান পর্বতশ্রেণি তার পরেই মূল পর্বতের দুই চূড়া । মরুভূমি পার হতেই চারদিন সময় হাঁটতে হবে এই পথই সবচেয়ে বিপদের। অ্যালানের দলের সকলের জন্য খাবার ও পানি রেখে সকল কিছুই পাশের গ্রামে রেখে রাতে রওনা হয় অ্যালানের দল। রাতে তীব্র  শীত আর দিনে প্রচণ্ড গরম দুই দিলেই পানি সঙ্কট দেখা দেয়। হঠাৎ গুড পানির উৎস খুঁজে পায় ঘ্রাণ শক্তির মতো এক অভাবনীয় পদ্ধতি ব্যবহার করে। পানি পেয়ে যেন স্বর্গ হাতে পেল অভিযাত্রী দল।  পানি পান ও ব্যাগ ভরতি করে আবার রওনা হলো দল পরের দুইদিন হাটার পর তারা সুলিমান বার্গের পাদদেশে এসে পৌঁছল। জঙ্গল শুরু হওয়ার পর পানির সঙ্কট দূর হলো বিশাল সাইজের ক্ষীরার মাধ্যমে। কিন্তু খাবার বলতে বিটলং, শিকারের মতো কোন প্রাণী চোখে পড়েনি অন্যদিকে তাদের হাতে শিকারের জন্য তেমন অস্র নেই। ফলে এই খাবারেই সামনে এগুতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যখন সুলিমান বার্গের সেই চুড়ার কাছে পৌঁছে তখন তীব্র শীতল হওয়া মূলত যে চুড়ায় যেতে হবে তা পুরোটাই বরফে ঢাকা আর অভিযাত্রী দলের সাথে কোন ভারী কাপড় নেই। ফলে প্রচণ্ড দুরবল হয়ে পড়ে দলের সদস্যরা। এর মাঝে একজন চাকর মারা যায়। তুষার ঝড়ের সময় তার গুহায় আশ্রয় নেয়, চমকের বিষয় গুহায় আগে থেকে একজন  সাদা চামড়ার বসেছিল। প্রথমে সন্দেহ হয় এ সেই জর্জ হেনরির ভাই। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখা গেল লাশের বয়স অনেক পুরনো বরফের কারণে লাশের কোন ক্ষতি হয় নি। পরদিন তারা বরফের সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে শুরু করে। এই গ্রাম সম্পর্কে কথা আছে যে এই গ্রামে বাস করে ভয়ংকর জাতি যারা সুলিমান বার্গের পাহারাদার । পথেই তাদের মুখোমুখি হয় অ্যালানের দল। বন্দুকের খেলা দেখিয়ে তাদের মনে ভয় তৈরি করা হয়, জানানো হয় তারা স্বর্গ থেকে এসেছে। অ্যালানের দলকে তারা রাজার কাছে নিয়ে যায়, সেখানে মুখোমুখি হয় গগুল নামক এক ভয়ঙ্কর ওঝার সামনে যার বয়স সম্পর্কে কেউই অনুমান করতে পারে না। সেই প্রাচীনকাল থেকেই তার বাস এইখানে। অ্যালানও ওই চেহারায় ভয়ের ছাপ দেখতে পায়। একমাত্র গগুলই সুলইমানের গুপ্তধনে ঢোকার পথ জানে। এই গগুলের বাঁধা পেরিয়ে সলোমনের গুপ্তধন দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল নাকি গগুলের হাত থেকে বেঁচে ফেরত আশাই অ্যালানের দলের লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছিল? অন্যদিকে জ্যাকের ভাগ্যে কি ঘটেছিল তা কি স্যার হেনরি জানতে পেরেছিল? সকল উত্তর আছে সলোমনের গুপ্তধন বইতে।

Showing 3 comments
  • pornlist

    Good blog!
    Happy every day!

  • 言情网

    价值百万泡妞把妹、房中秘术电子书免费下:

    yanqing.pw

  • porn pics

    Looks good!I like this!